Sunday, June 19, 2016

কাপড়ে ব্রাশ বাটিক করার নিয়ম

বাটিক এর কয়েকটি
বিভাগ/শ্রেণী,,,, যেমন-
১। মোম বাটিক/ফাঁটা
বাটিক,
২। ভেজিটেবল ডাইং,
৩। ব্রাশ বাটিক,
৪। প্রুশিয়ান ব্রাশ বাটিক,
৫। মাল্টি কালার টাইডাই
আজকে আমরা ব্রাশ বাটিক
সম্বন্ধে শিখবো।
উপকরণঃ
১। ফাইনগাম- ৫গ্রাম
২। কাপড় কাচার সোডা- ২ চা
চামচ
৩। খাবার লবন- ৩চা চামচ
৪। কাপড়- এক গজ/এক টুকরা
৫। ট্রেসিং পেপার-
ডিজাইনের লে-আউট
নিখুঁতভাবে আঁকার জন্য
৬। কার্বন পেপার - ঐ (আঁকার
জন্য)
৭। কাঠের ফ্রেম- কাপড়ের
সাইজ অনুযায়ী
৮। চিকন তুলি
৯। ছোট ছোট বাটি
(এক্ষেত্রে জল রং এর ছবি
আঁকার জন্য ৬ খোপ ওয়ালা
মশলার প্লেটের মত প্লেট
হলে ভালো হয়।)
১০। প্রুশিয়ান রং- যে রং এর
ডিজাইন করতে চান
১১। পানি- প্রয়োজনমত।
উপকরণ প্রাপ্তিস্থানঃ
ঢাকার গাউসিয়া
মার্কেটের উল্টোপাশের
সাতরং বিল্ডিং।
যে ধরনের কাপড়ে করা
যাবেঃ
এই বাটিক সবচেয়ে ভালো হয়
রাজশাহী সিল্ক কাপড়ে।
তবে,
সাধারন ভয়েল কাপড়েও করা যায়।
পদ্ধতি চার্টঃ
বর্ণনাঃ
প্রথমে এক গজ বা ইচ্ছামত এক
টুকরা কাপড় নেই। এর উপর যে
ডিজাইনটি করতে চাই তা
প্রথমে ট্রেসিং পেপারে
তুলে নিই। তারপর কার্বন
পেপারের সাহায্যে
ডিজাইনটি কাপড়ে তুলে
নেই। ১০০ গ্রাম পানিতে ৫
গ্রাম ফাইনগাম ১২ ঘন্টা বা
২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখি। ১২
ঘন্টা ভেজালেই চলে।
সকালে একটি বাটিতে ২ চা
চামচ লবন অল্প পানির
সাহায্যে গুলিয়ে
ফাইনগামের বাটিতে গুলাই।
অপর একটি বাটিতে অল্প একটু
পানি (আন্দাজে ১/২ চা
চামচ) দিয়ে ১ চা চামচ
পরিমাণ রং গুলাই। রং গাঢ় ও
ঘন তরল করার জন্য বেশি রং
এর সাথে কম পানি নিয়ে
গুলাবো। কাপড়টি বড় কাঠের
ফ্রেমে শক্ত করে আঁটকে
নেবো। তাহলে রং
ভালোভাবে বসবে ও
কাপড়ের প্রতিটি সুতোর
ভেতরে রং ঢুকবে। তারপরে,
গুলানো ফাইনগামে রং
ঢেলে ভালোভাবে গুলিয়ে
ঐ রং এ ব্রাশ বা তুলি ছুঁয়ে
ছবিটি এঁকে নেব। আঁকা হয়ে
গেলে ফ্রেমে আটকানো
অবস্থায়ই কাপড়টিকে রোদে
শুকাতে হবে কমপক্ষে ১২
ঘন্টা বা খুব বেশি হলে দুই
দিন।
শুকানোর কাজ শেষে ৩
লিটার পানিতে অর্ধেক হুইল
সাবান দিয়ে জ্বাল দিতে
হবে ৫/৭ মিনিট। এই
পরিমাণটা নির্দিষ্ট, বড় ছোট
সব সাইজের কাপড়ের
ক্ষেত্রে পরিমাণ একই। তবে,
সাবান কম-বেশি নিলেও
চলে। সবশেষে ঠাণ্ডা
পানিতে ভালোমত ধুয়ে
রোদে শুকাতে হবে।

No comments:

Post a Comment